শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন
সিরাজুল ইসলাম- ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ
গণভবনে আসবেন ৮ হাজার জনপ্রতিনিধি।
দেশে প্রথমবারের মতো ‘স্থানীয় সরকার দিবস’ উদযাপন হতে যাচ্ছে। “সেবা ও উন্নতির দক্ষ রূপকার, উন্নয়নে-উদ্ভাবনে স্থানীয় সরকার” স্লোগান নিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হবে। এ উললক্ষ্যে গণভবনে দেশের আট হাজার জনপ্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এ উপলক্ষে আগামী ১৪ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকে শেখ হাসিনার সঙ্গে যে আলোচনা হলো ম্যাক্রোঁর
জনসচেতনতা তৈরি এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে দিবসটি উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ২৫শে ফেব্রুয়ারী দিবসটি উদযাপনের কথা থাকলেও তা পিঁছিয়ে আগামী ১৪ই সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়।
দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে এরই মধ্যে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে।
তবে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জনপ্রতিনিধি এবং যাদের নামে মামলা রয়েছে, তারা আমন্ত্রণপত্র পাননি।
অনুষ্ঠান ঘিরে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সতর্ক রয়েছে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব (ইউনিয়ন পরিষদ অধিশাখা) মোহাম্মদ ফজলে আজিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দিবস উদযাপন সফল করতে আমরা ছুটির দিনও কাজ করছি। দিবসটির মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে জনসাধারণের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া দিবসটি উদযাপনের মাধ্যমে জনগণ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব ও কাজ সম্পর্কে জানতে পারবে। জনপ্রতিনিধিরাও তাদের দায়িত্বের বিষয়ে সচেতন হবে।
জানা গেছে, উপজেলা পর্যায়েও উদযাপন করা হবে স্থানীয় সরকার দিবস। আগামী ১৬, ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর তিন দিনব্যাপী ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উন্নয়ন মেলা’ আয়োজন করবে স্থানীয় প্রশাসন।
মেলায় প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন সব দপ্তর ও সংস্থা সরকারের বাস্তবায়িত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরবে। মেলায় নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান জনগণকে প্রদেয় সেবাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।